নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে আলোচিত-সমালোচিত জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানার সভাপতি শাহ আলম দল থেকে পদত্যাগ করেছেন নির্বাচনের পরপরই। তবে এখানো শাহ আলমের ভূত রয়ে গেছে ফতুল্লায়।
নেতাকর্মীদের মুখে শোনা যায়, কেউ কেউ তাকে রাজনৈতিক বাবা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। নিজের ফেইসবুক স্যাস্টাসে রাজনৈতিক গুরু ও বাবা পরিচিতিও দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীদের মতে, রাজনীতি ছাড়াও শাহ আলম অনেক বড় একজন ব্যবসায়ী। এককথায় শাহ আলম মানেই টাকার খনি। যার ফলে দল থেকে পদত্যাগ করার পরেও শাহ আলমের পিছু ছাড়েনি বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী। যার ন্যয় কিছুদিন পূর্বে শাহ আলমের ছবি সম্বলিত ব্যনার দিয়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। অথচ, যেই শাহ আলম কিনা মনোনয়ন না পেয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে থাকায় আর পদ পদবিতে আঁকড়ে থাকতে রাজি না বিএনপি নেতা শাহ আলম। পদত্যাগ করার সময় তিনি বলেছিলেন, স্বাস্থ্যগত কারণে এই পদে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয় বলে পদত্যাগ করেছি।
সূত্র মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনে প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমানের বিপক্ষে দলীয় মনোনয়রে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন তিনি। মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কেন্দ্রে জোর লবিংও চালিয়েছিলেন মনোনয়ন বঞ্চিত এই নেতা। নানান জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মনোনয়ন বাগিয়ে নেন শরিক দলের মূফতী মনির হোসাইস কাশেমী। আর তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেন শাহ আলম।
দল থেকে পদত্যাগ করার পর জনকল্যাণমূলক কাজে দলমত-নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা কামনা করছিলেন শাহ আলম। তবে, এলাকাবাসী বলছেন বিগত সময়ে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে শাহ আলমের কোন অংশগ্রহণ ছিলো না। রাজপথে নেয়া দলীয় কোন কর্মসূচীতেই তার কোন অংশগ্রহণ ছিলো না। তিনি তার সকল কর্মকান্ড চালিয়ে চান টাকার জোড়ে। অনেক টাকার মালিক হওয়ার বিএনপি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার কাছে এসে পরে থাকেন। দুঃসময়ে দল থেকে পদত্যাগ করলেও সুসময়ে ঠিকই আবার ফিরে আসবেন সুবিধাভোগী এই নেতা।